Saturday, June 19, 2021

ভালো থাকিস বন্ধু ভালো থাকিস


স্কুল জীবন থেকেই আমি একটু আড্ডাবাজ ছিলাম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হোস্টেলে থাকার কারণে এ জিনিসটি যেন আমার রক্তের সাথেই মিশে গেছে। বিস্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই এ জিনিসটি আরো প্রগাঢ় হয়ে দেখা দেয়। আড্ডার কারণেই পরিচয় হয় আরিফ, রাসেল, তামজিদ, কিশোর, শামীম, ফয়সাল, ফাহিম ও পাভেলের সাথে। আমরা নয় জন প্রতিম বর্ষ থেকেই যেন হয়ে যাই এক প্রাণ। এমন কোনো দিন নেই যে, আমরা অর্থনীতি বিভাগের চায়ের দোকান কিংবা সেমিনার অথবা ক্লাস শেষে ক্লাস রুমে বসেই ২/৩ ঘন্টা আড্ডা না মেরেছি। অনার্স পরীক্ষার শেষে ক্লাস বন্ধ ছিল বিধায় (অনার্সের রেজাল্ট না হলে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হয় না) , আমরা সপ্তাহের নির্দিষ্ট দুটো দিনে টিএসসির স্বপনের দোকানে আড্ডা মারতাম। সেদিন ছিল ১৯ এ আগস্ট বৃহস্পতিবার। ক্লাস শেষে আমরা বিভাগীয় সেমিনারে বসে প্রায় দু'ঘন্টার মতো বিভিন্ন বিষয়ে গল্প ও একটি বিষয় নিয়ে তর্কও করি। তারপর সবাই যার যার বাসার দিকে রওনা হই। সবাই চলে যাওয়ার পরও আরিফ, রাসেল ও আমি যাই টিএসসিতে স্বপনের দোকানে চা খেতে। সেখানে প্রায় ১ ঘন্টা থাকি। শনিবারে দেখা হবে বলে (বিদায় বেলায় সব সময়ই আমরা পরে কবে দেখা হবে সেই দিনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিদায় নেই) আরিফ চলে যায় উত্তরার দিকে আর আমরা চলে যাই হলের দিকে। শনিবার আরিফ আর আসেনি। রাত দশটায় খবর পেলাম আরিফ অসুস্থ। রাত বারোটার দিকে ওর বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম বন্ধু আমার ঢাকা মেডিকেলের লাশ কাটা ঘরে ডোমের নির্মম হাতের কাটাকাটির অপেক্ষায় আছে। আজো আমরা আড্ডা মারি কিন্তু পাঞ্জাবি পরা আরিফ আর আসে না। 

(এ বছর ১৯ এ আগস্ট উত্তরার কাওলা নামক স্থানে ঢা বি অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আরিফ বিকেল ৪ টার দিকে ট্রেনে কাটা পরে মারা যায়। আমাদের সবাইকে হতবাক করে বড়ো অসময়ে চলে যায় সে। )

আলম 
৭২, এসএম হল, ঢা বি 

Why I’m Voting for Change: A Call for Anti-War Leadership in 2024

As an American, I’m increasingly troubled by our country’s role in Middle Eastern foreign policy. Despite their domestic differences, both m...