বন্ধুর জন্য বিজ্ঞাপন ( আরিফ এর জন্য ; জন্ম ২৭/০১/১৯৭৬, মৃত্যু ১৯/০৮/১৯৯৯)
by Salahuddin Ahmed on Thursday, August 18, 2011 at 9:00am
“মনে পড়ে সেই যে রাখাল আর ঘরে ফেরে নাই
সেই যে ব্যথিত কবি বলে গেলো
আবার আসিব আমি চুলে মেখে কুয়াশার দাগ
তারপর কতো ঝরলো শিশির, কতো শিউলির শোক.....”
বাইরে টিপ্ টিপ্ বৃষ্টির শব্দ। প্রতি বছর এ সময় বৃষ্টি পড়ে । ভিজে এই শহর, মাদারটেক, তালতলা, টি এস সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,মিরপুর। তোর কবর টাও হয়ত ভিজে। আচ্ছা মিরপুর থেকে মাদারটেক কতো দূর? এখন ও তুই কি শুনতে পাস্ বৃষ্টির শব্দ? বৃষ্টিতে কি তোর শীত লাগে ? শীত লাগলে কি কাউকে ডাকতে ইচ্ছা করে ?কিছুদিন পর শিউলি ফুটবে । তুই কি শিউলির গন্ধ পাস্ । আমরা এখন আর শিউলির গন্ধ পাই না । তোর এখন শীত লাগলেও আমাদের করার কিছুই নেই । আমাদের কারোর ই আর কাউকে উষ্ণ করার মত সাহস বা শক্তি নাই । আমাদের রক্ত এখন ব্যাঙ এর মতও নয় , সারা বছর ই ঠাণ্ডা থাকে । ১২ বছর আগে তুই যখন আমাদের মায়া ছেড়ে চলে যাস, তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় গণ্ডি ছাড়ি নাই। এক যুগ পরে আমাদের কারো চুলের রঙ বদলে গেছে, আর কারো চুলের রঙ বদলানোর সুযোগ নেই। জীবন এখন দ্রুত দিগন্তের পানে ছুটে চলেছে । আমরা এখন অনেক অনেক টাকা আয় করি, শনৈঃ শনৈঃ উপরে উঠি । আমরা এখন বেঁচে থাকার দায় নিয়ে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত । মাদারটেকে “আদর্শপাড়ার” যাদের জীবন কে শুদ্ধ করতে চেয়েছিলি, তাদের আর কোনই আদর্শ নেই। নিজের বিষয় “ অর্থনীতি” এখন তোর খাতার উপর লেখা বিষয় “ব্যর্থনীতি” তে পরিণত। আমাদের “মুক্তির গান” আর গাওয়া হবে না। অগাস্ট মাসে আমাদের শোকের মিছিল শুধু বাড়তেই থাকে । আমাদের যাদের যাদের প্রয়োজন , তারাই শুধু পালায়। নাজিম হিকমত বলেছিলেন “ বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর” । কিন্তু ভালবাসার আয়ু কত বছর? আমার জানা নেই। শুধু জানি
“এখানে ,সেখানে, শহরের পরিচিত অঞ্চলগুলিতে আমি সেই সরল সাঙাতটিকে
খুঁজি , আমি শুধু সারা জীবন একটি বন্ধুর জন্য প্রত্যহ বিজ্ঞাপন দিই
কিন্তু হায়, আমার ব্লাডগ্রুপের সাথে
কারো রক্ত মেলে না কখনো । ”
“মনে পড়ে সেই যে রাখাল আর ঘরে ফেরে নাই
সেই যে ব্যথিত কবি বলে গেলো
আবার আসিব আমি চুলে মেখে কুয়াশার দাগ
তারপর কতো ঝরলো শিশির, কতো শিউলির শোক.....”
বাইরে টিপ্ টিপ্ বৃষ্টির শব্দ। প্রতি বছর এ সময় বৃষ্টি পড়ে । ভিজে এই শহর, মাদারটেক, তালতলা, টি এস সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,মিরপুর। তোর কবর টাও হয়ত ভিজে। আচ্ছা মিরপুর থেকে মাদারটেক কতো দূর? এখন ও তুই কি শুনতে পাস্ বৃষ্টির শব্দ? বৃষ্টিতে কি তোর শীত লাগে ? শীত লাগলে কি কাউকে ডাকতে ইচ্ছা করে ?কিছুদিন পর শিউলি ফুটবে । তুই কি শিউলির গন্ধ পাস্ । আমরা এখন আর শিউলির গন্ধ পাই না । তোর এখন শীত লাগলেও আমাদের করার কিছুই নেই । আমাদের কারোর ই আর কাউকে উষ্ণ করার মত সাহস বা শক্তি নাই । আমাদের রক্ত এখন ব্যাঙ এর মতও নয় , সারা বছর ই ঠাণ্ডা থাকে । ১২ বছর আগে তুই যখন আমাদের মায়া ছেড়ে চলে যাস, তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় গণ্ডি ছাড়ি নাই। এক যুগ পরে আমাদের কারো চুলের রঙ বদলে গেছে, আর কারো চুলের রঙ বদলানোর সুযোগ নেই। জীবন এখন দ্রুত দিগন্তের পানে ছুটে চলেছে । আমরা এখন অনেক অনেক টাকা আয় করি, শনৈঃ শনৈঃ উপরে উঠি । আমরা এখন বেঁচে থাকার দায় নিয়ে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত । মাদারটেকে “আদর্শপাড়ার” যাদের জীবন কে শুদ্ধ করতে চেয়েছিলি, তাদের আর কোনই আদর্শ নেই। নিজের বিষয় “ অর্থনীতি” এখন তোর খাতার উপর লেখা বিষয় “ব্যর্থনীতি” তে পরিণত। আমাদের “মুক্তির গান” আর গাওয়া হবে না। অগাস্ট মাসে আমাদের শোকের মিছিল শুধু বাড়তেই থাকে । আমাদের যাদের যাদের প্রয়োজন , তারাই শুধু পালায়। নাজিম হিকমত বলেছিলেন “ বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর” । কিন্তু ভালবাসার আয়ু কত বছর? আমার জানা নেই। শুধু জানি
“এখানে ,সেখানে, শহরের পরিচিত অঞ্চলগুলিতে আমি সেই সরল সাঙাতটিকে
খুঁজি , আমি শুধু সারা জীবন একটি বন্ধুর জন্য প্রত্যহ বিজ্ঞাপন দিই
কিন্তু হায়, আমার ব্লাডগ্রুপের সাথে
কারো রক্ত মেলে না কখনো । ”
1 comment:
This is my first time pay a visit at here and i
am in fact happy to read all at single place.
Feel free to surf to my web-site: top usa online casinos
Post a Comment